ধ্রুব নিউজ
ছবি: প্রতীকী
বিকেলে ৫ দিনের নবজাতক নিয়ে বের হন মা। বাড়ি ফিরে ওই মা জানান, তার নবজাতককে খুঁজে পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় রাতে স্বামী-স্ত্রী থানায় সন্তান নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করতে যান। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এলো গা শিউরে ওঠা তথ্য। মায়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তৃতীয়বার কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মা পাঁচদিন বয়সী ওই নবজাতককে ফেলে দেন নৌখালে। পরে পুলিশ খাল থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট এলাকায়। এ ঘটনার অভিযুক্ত মা শারমিন আক্তারকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কলারোয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে ও শ্যামনগর উপজেলার ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, ইব্রাহিম খলিল রঘুনাথপুরের শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। খলিল-শারমিন দম্পতির ঘরে পাঁচ ও দেড় বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে। গত পাঁচদিন আগে তৃতীয় কন্যা সন্তান জন্ম শারমিন। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন মা। সোমবার বিকেলে নবজাতককে নিয়ে অভিযুক্ত মা বাইরে যান। নৌখালে ওই নবজাতককে ফেলে হত্যা করেন। ঘটনার দিন রাতেই শারমিন আক্তার ও তার স্বামী ইব্রাহিম খলিল থানায় সন্তান নিখোঁজের জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে সন্দেহ হয় পুলিশের। একপর্যায়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২টার দিকে এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন স্বীকার করেন যে, নবজাতককে নৌখালে ফেলে দেন।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকের দাদী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত মাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।