❒ যশোরে শারদীয় পূজা ও দীপাবলি পরবর্তী মিলনমেলা
ধ্রুব নিউজ
শীতের সূক্ষ্ম রোদ আর মৃদু হাওয়ার মধ্যে যশোর পৌর উদ্যানে দেখা মিলল এক উৎসবমুখর দৃশ্য। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা ও দীপাবলি পরবর্তী মিলনমেলায় মাতৃস্নেহের হাসি, শিশুদের খেলা আর সামাজিক সম্প্রীতির ছোঁয়া মিলেছিল একসাথে।
মহিলাদের বালিস বদল ও ভারসাম্য দৌড় প্রতিযোগিতায় ছোটরা দেখালো নিজেদের চমৎকার দক্ষতা। জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহতাব নাসির পলাশ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করছিলেন, আর শিশুদের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ছিল পুরো আয়োজনে। সমাপ্তি হয় দেশবরেণ্য কৌতুক শিল্পী কাজল মল্লিকের কৌতুক পরিবেশনের মাধ্যমে, যা উপস্থিত সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে।
প্রধান অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “স্বৈরচরকে হটানোর জন্য আমরা এক হয়েছিলাম। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। আমাদের সন্তানদের জন্য এমন দেশ গড়তে হবে, যেখানে তাদের রক্ত দিতে হবে না। বিভেদকে রুখে একসাথে থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন সমাজে বড় হয়েছি যেখানে মিলনমেলার জন্য আলাদা আয়োজনের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সম্প্রীতি, ন্যায়ের শিক্ষা আর মানবসেবা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা নরম মাটির মানুষ, ক্ষমাশীল কিন্তু প্রয়োজনে রুখে দাঁড়াই।”

মিলনমেলায় সভাপতিত্ব করেন কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অ্যাড. দেবাশীষ দাস। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকার দাস রতন, রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামী আত্মবিভানন্দ মহারাজ, মানবাধিকার সংগঠক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্যামল দাস প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, অ্যাড. মো. ইসহক, যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক খান মো. শফিক রতন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা সদস্য সচিব নির্মল কুমার বিট।