একটানা বৃষ্টিপাতের প্রভাবে ঝিনাইদহে শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। সোমবার বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর, পাগলাকানাই, হামদহ ও উপশহরপাড়ার কাঁচা বাজারগুলোতে মরিচের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি ও মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় শাকসবজি ও মরিচের দাম বাড়তি বলে জানিয়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, সপ্তাহ ধরে ঝিনাইদহে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর প্রভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আবাদকৃত শাকসবজির মাঠ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উঠে মরিচের গাছ মারা গেছে। যে কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম কেজি প্রতি দ্বিগুণ বেড়েছে। গ্রামীণ ও সাপ্তাহিক হাটগুলোতে পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি প্রায় ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। তবে শহরের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন জানান, সোমবার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শহরের বাজারগুলোতে মরিচের দাম কেজিতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নিচ্ছে।
এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি পটল ২২ থেকে ২৫ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুর লতি ২০/২৫ টাকা, পুঁইশাক ২০/২৫ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৭০/৭৫ টাকা, পিয়াজ প্রতি কেজি ৫০/৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহ শহরের সবজি ব্যবসায়ী রমজান আলী জানান, গত সপ্তাহে শাকসবজি যে দামে বিক্রি হয়েছে তা চলতি সপ্তাহের শুরম্নতেই কেজি প্রতি ৫/১০ টাকা বেড়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।
উপশহরপাড়ার গৃহবধূ বেবি সুলতানা জানান, সবজির দাম বৃদ্ধির ফলে দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে কাাঁচা মরিচ কিনতে হিমশিম খাচ্ছি।
কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর এ নবী বলেন, কাঁচা মরিচের গাছ বৃষ্টির পানিতে মারা যাচ্ছে। উৎপাদন কম হচ্ছে বলে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।