মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

৩০০ ছবির পরিবেশক মাস্টার ভাই!

ধ্রুব নিউজ ডেস্ক ধ্রুব নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : বুধবার, ৮ অক্টোবর,২০২৫, ১০:১৫ পিএম
৩০০ ছবির পরিবেশক মাস্টার ভাই!

মায়া বড়ির মডেল হওয়ায় রোজিনাকে তখন ডাকা হতো মায়া কন্যা নামে। বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মাসে পেতেন তিন হাজার টাকা—সে সময়ে যা ছিল বড় অঙ্ক। তবে এর জন্য মূল্যও দিতে হয়েছিল তাকে।

 

শহীদুল্লাহ মাস্টাররোজিনার নায়িকা হয়ে উঠতে তখনো বছরখানেক বাকি। বাড়িতে রাখা হলো এক লজিং মাস্টার। বয়সে নবীন, শরীয়তপুরের জাজিরার ছেলে শহীদুল্লাহ। রোজিনাদের চার বোন, দুই ভাই সবাই রোজিনার ছোট। শহীদুল্লাহর দায়িত্ব ছিল তাদের পড়ানো।

মায়া বড়ির মডেল হওয়ায় রোজিনাকে তখন ডাকা হতো মায়া কন্যা নামে। বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মাসে পেতেন তিন হাজার টাকা—সে সময়ে যা ছিল বড় অঙ্ক। তবে এর জন্য মূল্যও দিতে হয়েছিল। এজে মিন্টুর মিন্টু আমার নাম (১৯৭৮) ছবিতে মনোনীত হয়েও বাদ পড়েন তিনি। সুবিধা ছিল একটাই—বিজ্ঞাপনটি সিনেমা হলে চলত বলে দর্শকদের কাছে তাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি।

এফ কবির চৌধুরী ছিলেন দূরদর্শী। তিনি রোজিনাকে নায়িকা হিসেবে সুযোগ দেন রাজমহল ছবিতে। ছবিটি দারুণ ব্যবসা করে। এর ফলেই রোজিনাকে নায়িকা হিসেবে নাম করতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৯৭৮ সালেই মুক্তি পায় তার অভিনীত শীষনাগ, সোনার চেয়ে দামি-সহ আরও কয়েকটি ছবি।

পরের বছরেই রোজিনার ১২ মাসে মুক্তি পায় ১০টি ছবি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিশান, হুর-এ-আরব, আনারকলি, রাজনন্দিনী, শাহী দরবার। ১৯৮১ সালে মুক্তি পায় আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ, মানসী, রাজসিংহাসন, আল্লাহ মেহেরবান ইত্যাদি। এভাবে একের পর এক ছবি মুক্তি পাওয়ায় দুই-তিন বছরের মধ্যে তিনি হয়ে ওঠেন ফোক-ফ্যান্টাসি ছবির 'মহারানী'।

প্রথমে শিডিউল ম্যানেজার

শিডিউল মেলানো রোজিনার জন্য সত্যিই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। দরকার হয় একজন বিশ্বাসী ও সৎ শিডিউল ম্যানেজারের। হাতের কাছেই ছিলেন শহীদুল্লাহ। প্রয়োজনীয় সব গুণাবলি থাকায় তাকেই নিয়োগ দেওয়া হলো শিডিউল ম্যানেজার হিসেবে।

১৯৮৫ সালে শহীদুল্লাহ গ্র্যাজুয়েট হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ বিভাগে চাকরি পান। কিন্তু যোগ দেওয়ার ১১ দিনের মাথায় সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি ফিরে আসেন রোজিনাদের পরিবারে। ধীরে ধীরে পরিবারটির ভরসার জায়গা হয়ে ওঠেন তিনি।

এ সময় রোজিনা প্রযোজক ফজলুর রশিদ ঢালীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ঢালীর বনি পিকচার্স আর রোজিনার রোজিনা ফিল্মস—দুটি প্রযোজনা সংস্থার অফিস ছিল একই জায়গায়। শহীদুল্লাহ যুক্ত হন পরিবেশনা টিমে। সেলিম মহিউদ্দিন ছিলেন প্রধান, আর শহীদুল্লাহর শেখার শুরু হয় রসের বাইদানি ছবির ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ দিয়ে। প্রথমে ছবিটির ১৮টি প্রিন্ট করা হয়েছিল, মুক্তি পায় একসঙ্গে ২২টি হলে।

সেইসব সাইকেলওয়ালারা

কীভাবে ১৮টি প্রিন্ট দিয়ে ২২টি হলে চালানো সম্ভব হলো? 

শহীদুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, "সে ছিল এক মজার সময়। ঢাকায় যানজট ছিল না। একদল পেশাজীবী ছিলেন যারা সাইকেল চালিয়ে প্রিন্ট পৌঁছে দিতেন এক হল থেকে আরেক হলে। বিদ্যুতের গতিতে সাইকেল চালানো হতো। দুটি হলে একই সময়ের শো এক প্রিন্ট দিয়েই চালানো যেত।" 

"তিন ঘণ্টার একটি ছবি ২০ মিনিট ভাগ করে নয়টি টিনের ক্যান বানানো হতো। প্রথম ক্যানটি এক হলে আগে চালু হতো, অন্য হলে ১০-১৫ মিনিট পরে। এর মধ্যে সাইকেলওয়ালা দৌড় শুরু করত। রাত বারোটার শো শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলত তাদের ছুটে চলা," বললেন তিনি।

ঢাকার শাবিস্তান, মানসী, লায়ন, রূপমহল, জোনাকী একা একটি ছবি পেত না। তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে বা অন্য কোনো হলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে শো চালাত।

অভিসারও অনেক সময় ভাগে ছবি দেখিয়েছে। প্রিন্ট কম করার কারণ ছিল খরচ বাঁচানো। জাপানি পজিটিভে একটি ছবি প্রিন্ট করতে খরচ পড়ত ১৪ হাজার টাকা। এফডিসিতে সেটির প্রযুক্তিগত সুবিধা ছিল। অন্যদিকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু হওয়া চাইনিজ পজিটিভে তিন হাজার টাকা কম খরচ হতো। তবে জাপানি ফিল্ম টেকসই ছিল বেশি, চাইনিজ ফিল্মে দ্রুত স্ক্র্যাচ পড়ে যেত।

নাম হয়ে গেল মাস্টার ভাই

রসের বাইদানি সুপার ডুপার হিট হয়েছিল। মুক্তির দুই সপ্তাহ পর ঈদ থাকায় আরও ৪৪টি প্রিন্ট করা হয়। তত দিনে ছবিটির পরীক্ষা হয়ে গেছে—ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের হলগুলোতে ভালো দর্শক টেনেছে, তাই ঢাকার বাইরেও সফল হবে তা নিশ্চিত ছিল। 

সাধারণত যে ছবিগুলো ব্যবসাসফল হতো সেগুলো দুই-তিন বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে চলত। বাইদানি অন্তত হাজারখানেক হলে প্রদর্শিত হয়েছে বলে জানালেন শহীদুল্লাহ মিয়া।

রোজিনাদের লজিং মাস্টার বলেই সিনেপাড়ার লোকজন তাকে ডাকতে শুরু করে 'মাস্টার ভাই'। তিনি বললেন, "আশির দশকে সারাদেশে বারোশো থেকে চৌদ্দশো হল ছিল। কোনো কোনো উপজেলায় তিনটি হলও থাকত—যেমন মুক্তাগাছা, নাগরপুর ও ভুরুঙ্গামারিতে। টাঙ্গাইলের মধুপুরে ছিল চারটি হল। বরিশাল আর ভোলায় সংখ্যাটা আরও বেশি।" 

"ময়মনসিংহ, পাবনায় সামাজিক ছবির ভালো দর্শক ছিল। কিন্তু এখন হল না থাকায় সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত তামিম নূর পরিচালিত উৎসব ছবিটি চালানো যায়নি। দেশে হল চালু থাকলে আর পরিবেশ ভালো থাকলে ছবিটি আরও অনেক বেশি ব্যবসা করত," যোগ করেন তিনি।

 

মাস্টার ভাই আরও বললেন, "সাধারণত কোনো ছবি উপজেলায় একটি হলে চললে, ওই উপজেলার অন্য হলে আবার তিন-চার মাস পর দেখানো হতো। তখন ছবি তৈরি হতো অনেক, দর্শকপ্রিয় নায়ক-নায়িকাও ছিল প্রচুর। এক সপ্তাহে চার-পাঁচটি ছবিও মুক্তি পেত। রাজ্জাকের ছবি নামলে উঠত উজ্জলের, অথবা আলমগীর কিংবা সোহেল রানার। ওয়াসিম, জাভেদ, জাফর ইকবাল, ফারুকও ছিলেন দর্শকপ্রিয়। নায়িকাদের মধ্যে কবরি, শাবানা, ববিতা, অঞ্জনা, রোজিনাকে বলা যেত মহানায়িকা। কোনো ছবি সুপারহিট হলে তার আয়ে অফিস খরচ বাদ দিয়ে প্রযোজকের হাতে আরও তিনটি ছবি করার টাকা চলে আসত।"

তিনি আরও বলেন, "অনেক প্রযোজকেরই নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ ছিল—যেমন খান আতা, মিতা, কাজী জহির, শফি বিক্রমপুরী। জ্যাম্বস, রাজলক্ষ্মী আর আলমগীর পিকচার্সেরও ছিল নিজস্ব ব্যবস্থা। তবে স্টার কর্পোরেশনের খলিলুল্লাহ খান একেবারে ডিস্ট্রিবিউশনেই মন দিতেন, খুব নাম করেছিলেন। আবু সাঈদের চিত্রবিতানও পরিবেশনায় সুনাম কুড়িয়েছিল। ডিস্ট্রিবিউটররা ছবির মোট বিক্রির ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন পেতেন।"

এজেন্টরা উত্তাল নদী পার হতো

ডিস্ট্রিবিউশনের নিয়ম তখন যেমন ছিল, আজও তেমনই। আগের দিনে ছবির পোস্টারই ছিল প্রধান প্রচারণা। সেখানে নায়ক-নায়িকার ছবি ও ছবির বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হতো। গ্রামীণ দর্শক সাধারণত পোস্টার দেখে ঠিক করত ছবি দেখবে কি না। রেডিওর বিজ্ঞাপন শহর-গ্রাম দুই জায়গাতেই প্রভাব ফেলত। আর পত্রিকার প্রচার শহরে বেশি কার্যকর হতো।

হল মালিকরা পোস্টার দেখে ছবি নির্বাচন করত। এরপর তারা বা তাদের এজেন্ট প্রযোজকের অফিসে যোগাযোগ করত। দুটি আর্থিক পদ্ধতিতে ছবি দেওয়া হতো—গ্যারান্টি মানি ও পারসেন্টেজ। গ্যারান্টি মানিতে ছবি চলুক বা না চলুক হল মালিককে টাকা দিতেই হতো। আর পারসেন্টেজ পদ্ধতিতে যত টিকিট বিক্রি হতো তার হিসাব কষে ভাগ হতো প্রযোজক ও মালিকের মধ্যে।

প্রযোজক ও পরিবেশকের পক্ষেও এজেন্ট থাকত। তারা প্রিন্ট পরিবহন করত এবং টিকিট বিক্রির হিসাব রাখত। আশির দশকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নাজুক। শরনখোলা, হাতিয়া বা রৌমারিতে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ছোট লঞ্চে এজেন্টরা উত্তাল নদী পাড়ি দিতেন। ছবির প্রিন্ট তারা আগলে রাখতেন জান-প্রাণ দিয়ে। হলের কাছে পৌঁছালে এলাকাবাসীর উচ্ছ্বাস এমন হতো যেন নায়ক ওয়াসিম বা ফারুক চলে এসেছেন।

কার বাড়িতে কখন খেতে যাবে তারও শিডিউল করা থাকত। মাস্টার ভাই ঘুরেছেন দেশের ৬০টি জেলা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি শাকিব খান অভিনীত এক ডজনের বেশি ছবি পরিবেশন করেছেন, যার মধ্যে তাণ্ডব, তুফান আর বরবাদ উল্লেখযোগ্য।

পরিবেশনা বুদ্ধি আর কৌশলের খেলা

রসের বাইদানির পর রোজিনা-ওয়াসিম অভিনীত মিস লোলিটা (১৯৮৬) ছবির ডিস্ট্রিবিউশনে কাজ করেন মাস্টার ভাই। এই ছবির মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউশনের খুঁটিনাটি আয়ত্তে আসে তার। এরপর থেকে বনি পিকচার্সের ছবি পরিবেশনার দায়িত্ব নেন তিনি।

মাস্টার ভাই বললেন, "ছবি পরিবেশনা আসলে বুদ্ধি আর কৌশলের খেলা। বড় বা তারকাবহুল ছবির সঙ্গে লড়তে গেলে ক্ষতির ঝুঁকি বেশি। ট্রেন্ডের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। যেমন—মার্শাল আর্ট ছবি বাজারে থাকলে তার সঙ্গে সামাজিক বা রোমান্টিক ছবি রিলিজ দেওয়া উচিত নয়। একই শহরে তো একসঙ্গে রিলিজ দেওয়া যায় না। কারণ দর্শক না পেলে গল্প ভালো হলেও ছবিটির বদনাম হয়ে যায়। একবার বদনাম হলে আর টাকা ওঠানো যায় না।"

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ে আমি তাণ্ডব ও উৎসব—দুটো ছবিই পরিবেশন করেছি। তাণ্ডব বড় তারকার ছবি, নির্মাণব্যয়ও বেশি। তাই হিসাব করে উৎসব চার সপ্তাহ আটকে রেখেছিলাম। তাণ্ডব এর উন্মাদনা শেষ হলে পরে উৎসব রিলিজ দিই। তুলনায় উৎসব এগিয়ে আছে। ছবিটির সেল তাণ্ডব-কে  ছাড়াতে পারবে না, কিন্তু মুনাফা হবে বেশি, কারণ এর নির্মাণ ব্যয় কম। শুধু শ্যামলি হলেই উৎসব সাত সপ্তাহ চলেছে।"

সম্মান আর ভালোবাসায় টিকে আছে

ষাট-সত্তরের দশক তো বটেই, আশির দশকেরও অনেক হল মালিক ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী বা বড় ব্যবসায়ী। তারা উত্তরাধিকারসূত্রে জমির মালিক ছিলেন কিংবা প্রভাবশালী। পাকিস্তান আমলে অবাঙালিরাও অনেক হলের মালিক ছিলেন—ঢাকার গুলিস্তান সিনেমা, খুলনার পিকচার প্যালেস, স্টার বা আনিস ফিল্ম কর্পোরেশন ছিল তাদের হাতে।

আজ সারাদেশে সচল সিনেমা হল ষাটটির কিছু বেশি। অথচ কী মনোহরা নাম ছিল সেসব হলের—চম্পাকলি, আনারকলি, বনরূপা, মনোরমা, চলন্তিকা, হীরা, পান্না, আয়না, মিনার্ভা, ঝুমুর, ঝংকার, ছন্দা, ছায়াবানী, তরঙ্গ, হীরামন, অনামিকা, ফাল্গুনী, মধুছন্দা ইত্যাদি।

চলচ্চিত্রের এই দুর্দিনে কিছু মালিক এখনও প্রেক্ষাগৃহ ধরে রেখেছেন মূলত সম্মান আর ভালোবাসার কারণে। উদাহরণ হিসেবে মাস্টার ভাই বললেন মধুমিতার ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ, টঙ্গীর বর্ষা হলের বাদল সাহেব এবং মনিহারের সিরাজ সাহেবের কথা। তাদের আরও লাভজনক ব্যবসা আছে, তবু সিনেমা হল চালু রেখেছেন সুনাম আর মমতার টানে।

সৌখিনতা বলতে ভালো চা পাতা

মাস্টার ভাই ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন বনি পিকচার্সে। তারপর দুই বছর পরিবহন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তবে ঢাকায় ফিরে আবার চলচ্চিত্রে আসেন। পিংকি ফিল্মসের শরীফ উদ্দিন খান দীপু তাকে ফিরিয়ে আনেন নিজের অফিসে। সেখানে ছিলেন ২০১০ পর্যন্ত। এরপর ফ্রিল্যান্স হিসেবে ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ করেন, কয়েকটি হল ভাড়া নিয়ে পরিচালনাও করেন।

২০১৫ সালে যোগ দেন জ্যাজ মাল্টিমিডিয়ায়। ২০১৮ সাল থেকে জ্যাজ কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য প্রযোজনা সংস্থার ছবিও রিলিজ দেওয়ার অনুমতি দেয়। তখন থেকে তিনি প্রায় বিনা সম্মানিতেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, কেবল তুফান ছবির জন্য আলফা আই থেকে কিছু পারিশ্রমিক পেয়েছেন।

মাস্টার ভাই এখন জ্যাজের বেতনভুক্ত পরিবেশক। প্রতিষ্ঠানের ষাটটি ছবি তিনি রিলিজ দিয়েছেন। তার কোনো বাড়ি-গাড়ির আগ্রহ নেই, জীবনযাপন একেবারে সাদামাটা। অবিবাহিত, থাকেন এক সহকর্মীর সঙ্গে। দিনে একবেলা খান, অন্য বেলায় ফল বা সালাদ। সৌখিনতা বলতে ভালো চা পাতার চা।

এ পর্যন্ত তিনি পরিবেশন করেছেন প্রায় ৩০০ ছবি। বয়স ঊনসত্তর, তার সমসাময়িক কোনো পরিবেশক আজ আর সক্রিয় নেই। তিনি-ই ইন্ডাস্ট্রির সবেধন নীলমণি।

ধ্রুব নিউজের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

💬 Comments

Login | Register
Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)