❒ নতুন কৌশলে চাকরি পরীক্ষা দিতে যেয়ে ধরা কৃষ্ণকান্ত
ধ্রুব নিউজ ডেস্ক
❒ খাদ্য অধিদপ্তরের চাকরির পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার করায় আটক হন কৃষ্ণকান্ত রায়। ছবি:
দিনাজপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের চাকরির পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার করে অংশগ্রহণ করেন কৃষ্ণকান্ত রায় (২৫)। কিন্তু পরীক্ষার কক্ষে তিনি বারবার কাশি দিচ্ছিলেন। বিষয়টি সন্দেহের সৃষ্টি করলে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করে দায়িত্বরত পুলিশ। এ সময় তার শরীরের স্যান্ডো গেঞ্জির ভেতরে এক ডিভাইস ও কানের ভেতর থেকে আরেকটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের চাকরির পরীক্ষায় কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক কৃষ্ণকান্ত রায় বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সম্প্রতি স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।
পুলিশ ও কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণকান্ত ওই কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার রুমে বারবার কাশতেছিলেন। বিষয়টি সন্দেহের সৃষ্টি করলে তাকে তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় তার কানের ভেতর থেকে একটি, স্যান্ডো গেঞ্জির ভেতর থেকে একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণকান্ত রায় স্বীকার করেছেন যে, একটি চক্রের মাধ্যমে তিনি অর্থের বিনিময়ে এই কৌশল নেন। চক্রটির সদস্যরা তাকে জানিয়েছিল, প্রশ্নপত্রের সেট ‘পদ্মা’ হলে কাশি দিতে হবে। যাতে করে পদ্মা সেটের প্রশ্নের উত্তর অপর প্রান্তের চক্রটির সদস্যরা বলে দিতে পারেন।
অর্থের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া ও ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীকে হাতে-নাতে ধরার পর তাকে ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এটি বড় একটি চক্র এবং পুরো চক্রটিকে ধরতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি চক্রের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থী এই ডিভাইস ব্যবহার করছিল। প্রশ্নফাঁস ও ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর বলে দেওয়া চক্রটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যেই সবুজ ও মামুন নামে আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এটি বড় একটি চক্র। পুরো চক্রকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।